কিভাবে, কেমন করে সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব শুধু কয়েকটি জিনিসের সমন্বয় করতে পারলেই এক ক্লিকে বিশ্ব ভ্রমন। শ্রেণি কক্ষে নিয়ে আসতে পারেন পুরো পৃথিবী অজানা অচেনাকে। ২০০৫ সালের কথা, একটা ইমেল পাঠাতে যেতে হতো সাইবার ক্যাফেতে। সিটিসেল জুম মডেম ছাড়া তেমন কিছু ছিলনা। হাতের নাগালে, নেট দূর্বলতা থাকতই বিনিময়ে খুইয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা। আজ তা থেকে উত্তোরন ঘটেছে গুটা পৃথিবীটা এসে গেছে হাতের মুঠোয়। কি লাগবে এতে ভাবছেন? বেশি কিছু নয় এই বিশ্বায়নের যুগে একটা ইন্টারনেট কানেকশন মোবাইল, অথবা ওয়াই ফাই বা মডেম, ল্যাপটপ সাথে স্কাইপি আইডি। সামাজিক মাধ্যম তো আছেই আর মাইসোসফট ব্রিটিশ কাউন্সিল মত প্লাটফর্ম পেলে তো কোন কথাই নেই। শুধু আপনার কারিকুলাম ক্রস করে এমন বিষয় বেছে নিয়ে সংযোগ দিয়ে নিবেন বিশ্বের সেরা সেরা শিক্ষকের সাথে বা তাদের তৈরিকৃত কোন প্রজেক্টের সাথে। শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে নতুন কিছু শিখতে পারবে, শিখন স্থায়ী হবে। কারণ শিশুরা যা দেখে তাই স্মরণ রাখতে পারে বেশি। অন্যন্য দেশের পরিবেশ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষার্থীদের স্বত:স্ফুর্থতা, আগ্রহ, শিষ্টাচার, শিখন প্রক্রিয়া, সময় জ্ঞান, উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া সরাসরি বিনিময় করে নিজ দেশকে তুলে ধরতে পারবেন, ছোট বেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করা, জড়তা দূর করা শেখাতে পারেন, গড়ে তুলতে পারেন নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা, সাহসী ও উদ্দ্যেমী করে। তাছাড়া দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি অনুশীলনের সুযোগ লাভ করা যায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওঈঞ ব্যবহারে দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে জড়তা মুক্ত কেটে দ্রুততা বৃদ্ধি পায়। তদুপরি বিদেশি শিক্ষকরা কিভাবে স্কুলের কাজের পাশাপাশি বাড়তি সময় বের করার মানসিকতা গড়ে তুলছে তা সরাসরি শিক্ষালাভ করা যায়। ছাত্ররা শিখে কীভাবে বলতে হয়, বসতে হয়, কীভাবে সম্বোধন করতে স্কাইপি সেশন করার মধ্য দিয়ে। শিক্ষকের চিন্তাশক্তি, সময় জ্ঞান, সময়ের সদ্বব্যবহার করার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পায়। স্কাইপি সেশনের জন্য শিক্ষকের বিষয় জ্ঞান ও বৃদ্ধি পায় কোন বিষয়ের সাথে কোন প্রজেক্টকটি ম্যাচ করে। যেমন- ট্রাফিক রুলস একটি প্রজেক্ট, এখানে বাংলা, ইংরেজি ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। ছোট বেলা থেকে ঝঞঊগ এর প্রতি আগ্রহীশীল করে তোলে বিদেশী শিক্ষকরা। অর্থাৎ ঝপরবহপব, ঞবপযহড়ষড়মু, গধঃযং, ঊহমবহবৎরহম, এর প্রতি প্রতিটি শিক্ষক গুরুত্ব দেয় সাথে সাথে উদ্ভাবনা করে দেয়। স্কাইপি মাধ্যমে একজন শিক্ষক হিসেবে বন্ধুত্ব তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হয়। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, শক্ত বন্ধনে ও দীর্ঘ সূত্রিতার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একে অপরকে জানার ক্ষেত্র তৈরি হয়। বিভিন্ন জাতি ধর্মকে জানার এবং তাদের উৎসব ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যম। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু রাতদিনের পার্থক্য সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়। নিজ দেশের পরিচিতি বাইরের দেশে তুলে ধরার অপূর্ব সুযোগ ঘটে। ক্লাসের ফাঁকে, কো-কারিকুলাম ক্লাসে বিদ্যালয় শুরুর পূর্বে, ছুটির পরে ও স্কাইপি সেশন করতে পারেন আপনি। এতে ভাললাগা কাজ করে কারণ নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি শিশুদের প্রচুর উন্নতি হয়। আমাদের তৃতীয় বিশ্বের শিক্ষকের পক্ষে প্রতিনিয়ত দেশ ভ্রমণ করা সম্ভব নয় পাসপোর্ট বিহীন আমরা পারিনা এভাবে প্রতিটি দেশ প্রতিটি মূহুর্তে শিক্ষক ক্ষেত্রে কী অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটছে স্কাইপির মাধ্যমে জানতে? আমি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার নাম, আমার বিদ্যালয়ের নাম বিশ্বের প্রতিটি বিদ্যালয়ের পেীঁছে দেওয়ার অপূর্ব সুযোগ। স্কাইপি সেশন আর এটাই একমাত্র মাধ্যম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। আসুন তাহলে আর দেরি কেন শুরু করি আজই। বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র। আপন হাতে মুঠোয় নিয়ে নেই এই স্কাইপি সেশনের সুযোগ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কেন শিক্ষা?
শিক্ষার মূল লক্ষ্য: # মানুষকে সৎ হিসেবে গড়ে তোলা, # মূল্যবোধ জাগানো ও ব্যক্তির গুণাবলির যথার্থ বিকাশ, # বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান অর্জন # বৃত্...
-
স্কুলের নাম : বাঁশগাড়ি ১ সপ্রাবি ইউনিয়ন : গজারিয়া ভৈরব, কিশোরগঞ্জ "মানুষ কিছুই ভুলে না, ভুলার ভান করে" এই স্কুলে আসি, প্রিয় সুরম...
-
স্কুলের নাম : মল্লিকপুর মডেল সপ্রাবি, সদর সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ। অনেক কষ্টে, কত কাঠ খর পুড়িয়ে হারুন ভাই(শিক্ষক নেতা), ( টি, ই,ও)মোহন মিয়া স...
-
https://digitalbiddaloy.blogspot.com/2022/09/blog-post_20.html
1 comment:
খুব ভালো লাগল।
Post a Comment